স্বাধীনতা দিবস-২৬ মার্চ
মুক্তিযুদ্ধের কথা ভাবতে
আত্নীয়স্বজন
পাড়াপ্রতিবেশী
বড়জোর জেলা
এই সংকীর্ণ পরিচয়ে
অভ্যস্ত তরুণেরা
সেদিন অসীম সাহসে হুংকার দিল,
‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর
বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’
দেশের জন্য কতদিন,কতদিন পরে
বাঙালিরা অস্ত্র ধারণ করল
আর বাংলাদেশ তারা স্বাধীনও করল।
মুক্তিযোদ্ধার মা
আমবাগানের পূর্বপ্রান্তে
শেষ গাছটা ধরে
যত দূর দৃষ্টি যায়
ছেলের প্রস্থানপথে চেয়েছিল।
মা কি জানত তার বুক খালি করে
তার ছেলে মহাপ্রস্থানের পথে চলে যাবে
আর সে যে আর ফিরবে না!
মায়ের অশ্রুধারা
ছেলের গালে লেগেছিল
সে তা মুছে ফেলেনি।
ছেলের কপালে মায়ের ভিজে চুমু লেগেছিল
সে তা তা মুছে ফেলেনি।
যেদিন দেশ স্বাধীন হলো
সেদিন মায়ের বুক ভরে গেল
এক অনন্য আনন্দে
এক মহাতৃপ্তিতে।
সব ছেলে ঘরে ফেরে
‘আমার সোনা কোথায়!’
আশংকায় মায়ের বুক ঢিপঢিপ করে।
আশংকাই সত্য হয়।
তার ছেলের দুই পা-ই
গ্রেনেডে উড়ে যায়।
মৃত্যুর আগে কপালে সে
হাত দিয়ে ঢুঁড়েছিল মায়ের চুমুকে।
সেই হাত সার মুখে বুলিয়ে
সে ডেকেছিল ‘মা!’
সে আল্লাহ বলার সুযোগ পায়নি
তার শেষ ডাক, ‘মা!’
মায়ের পায়ের নিচেই না বেহেস্ত!
মায়ের দুঃখ দুদিন পরে জমাট বেঁধে যায়
দুঃখের কালশিরাটাও
ক্রমে ক্রমে তার রেখও
যে হারায়।
মুক্তিযুদ্ধের কথা ভাবতে বুক ভরে যায়
মুক্তিযুদ্ধের কথা ভাবতে বুক খালি হয়ে যায়।
সূত্র: ২৬ মার্চ ২০০৯ প্রথম আলোর "স্বাধীনতা দিবস" বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত
Also Read
-
অভিনেত্রী শমী কায়সার গ্রেপ্তার
-
মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি শুরুর চিন্তা বিএনপির
-
চট্টগ্রামে ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে সংঘর্ষ, ফাঁকা গুলি, সাত পুলিশ সদস্য আহত
-
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ
-
প্রাথমিক ভোট গণনার ফল যে কারণে বিভ্রান্তিকর হতে পারে