স্বাধীনতা দিবস-২৬ মার্চ
ভারতের স্বীকৃতি জরুরি ছিল
একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর আমি মুজিবনগর সরকারে কর্মরত ছিলাম। মুজিবনগর সরকারের রাজনৈতিক নেতারা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারী পর্যন্ত সবাই সেদিনের এই ঘোষণায় আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন। সবচেয়ে বড় কথা, ভারতের এই স্বীকৃতি আমাদের জন্য এক বড় স্বস্তির বিষয় ছিল।
আমরা এটা সবাই জানি যে ভারত একাত্তরের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এ অবস্থায় যতক্ষণ পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি না দিচ্ছে, ততক্ষণ বিষয়টি এমন দাঁড়াচ্ছে যে ভারত পাকিস্তানের ভূখণ্ডে লড়াই করছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের সহায়তা যেমন ছিল, তেমনি বাংলাদেশকে ভারত স্বীকার করে নেবে, সে ব্যাপারে কোনো আস্থার সমস্যাও ছিল না। কিন্তু আইনগতভাবে এই স্বীকৃতি তখন জরুরি হয়ে পড়েছিল।
বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এত দিন ভারতের অপেক্ষা করার পেছনে কিছু কারণ ছিল। ভারত পাকিস্তানকে ভাঙতে চাইছে—এই অভিযোগের দায়দায়িত্ব ভারত নিতে চায়নি।
৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে যে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে, তা নিছক স্বীকৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। অন্যান্য রাষ্ট্র, বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে কি না, তা নিয়ে তখনো অনিশ্চয়তা ছিল। ভারতের স্বীকৃতির পর আইনগতভাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা সম্ভব হয়।
২০ মার্চ, ২০১১, ঢাকা
সূত্র: ২৬ মার্চ ২০১১ প্রথম আলোর "স্বাধীনতা দিবস" বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত
Also Read
-
দেশে দিনে গড়ে ৪০টি আত্মহত্যা, সবচেয়ে বেশি যশোরে
-
এ আঘাত বাংলাদেশের ওপর
-
বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের ওপর হামলা
-
নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে: মার্কিন বিশেষ দূতকে প্রধান উপদেষ্টা
-
শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র বন্ধ করে দিলেন হিন্দুত্ববাদী বিক্ষোভকারীরা