স্বাধীনতা দিবস-২৬ মার্চ
দেশভাগের পথ : ১৯৭১ ও তারপর
‘ভিন্নমত দমন করতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাজারবাগ পুলিশ ব্যারাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যামঙ্াস, রিকশাওয়ালাদের বস্তি ও দিনমজুরদের ঝুপড়িঘরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেই রাতে এবং এর পরবর্তী নয়টি মাস বাঙালিরা, যাদের অধিকাংশই এর আগে কখনো অস্ত্র হাতে তুলে, অস্ত্রে সুসজ্জিত সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক ড. নিয়াজ জামান তার ১৯৭১ অ্যান্ড আফটার গ্রন্থের ভূমিকায় এ কথা লিখেছেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের সামরিক অভিযান, যার পরিণতিতে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান দু টুকরো হয়ে যায়, সেটির আরেকটি বিবরণ দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা হাসান জহির তার সেপারেশন অব পাকিস্তান গ্রন্থে। তিনি ১৯৫০-এর দশক ও ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে এবং ১৯৭১ সালে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন। তিনি লিখেছেন, ‘সেনা অভিযানের পর আওয়ামী লীগ ও ইয়াহিয়া খান উভয়েই পরসেরর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ ও অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার অভিযোগ তুলে। পাকিস্তান সরকার অভিযোগ করে ২৪ মার্চ নাগাদ সশস্ত্র অভ্যুত্থান ও স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র ঘোষণার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা অগ্রসর পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল।’
পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছেদ ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৩২ বছর পর আজ এ মর্মে পরিষ্কার এবং বস্তুনিষ্ঠ একটি ধারণা পাওয়া সম্ভব যে, ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অখণ্ড পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত প্রথম সাধারণ নির্বাচনের পর যে রাজনৈতিক সংকট দানা বেঁধেছিল, তা কেন সুষ্ঠুভাবে নিষিত্ত করা যায়নি এবং ২৫ মার্চের রাতে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে পাশবিক অভিযানের পর কী করে দেশভাগ একটি পরিষ্কার বাস্তবতা হয়ে উঠেছিল। ধোঁকাবাজি করা এবং ১৯৭১-এর দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য উভয়পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব উপস্থাপন করা হয়।
আজকের পাকিস্তানের পক্ষ থেকে মনে করা হয়, পূর্ব পাকিস্তান হারানোটা হয় ভারতের হস্তক্ষেপ নতুবা ১৯৭০-এর নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশকারী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের অস্বীকৃতি, ভুট্টোর ক্ষমতালিপ্সা এবং ৭ দফার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অনড় অবস্থানের ফলাফল। প্রকৃত কারণ যেটাই হোক না কেন, ২৫ মার্চ সামরিক অভিযানের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক মানুষ মেরে ফেলে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার জন্য বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ ভুট্টো ও ইয়াহিয়া খানকেই পুরোপুরি দায়ী করে থাকে। সে যাই হোক না কেন, গত বছর ২৯-৩১ জুলাই বাংলাদেশ সফরকালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ ১৯৭১-এর ট্র্যাজেডিকে এমন একটি পরিবারের দু টুকরো হয়ে যাওয়া হিসেবে অভিহিত করেছেন, যে পরিবার মুসলমানদের একটি মাতৃভূমি তৈরি করা এবং সমৃদ্ধ পাকিস্তান গড়ে তোলার জন্য যৌথভাবে সংগ্রাম করেছে। ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ব অংশে যে রক্তগঙ্গা বয়ে গেছে, তা পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণকে সর্ঙ্শ করেনি। তাদের নিজ দেশবাসী যে নির্যাতন ও অপমানের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, সে সমের্ক তাদের সম্যক ধারণা ছিল না। আজ ৩২ বছর পর প্রতীয়মান হচ্ছে, পাকিস্তানের ভাঙন ঠেকানোর জন্য তত্কালে এসব ঘটনার কর্ণধার ব্যক্তি এবং রাজনীতিবিদরা কোনো আন্তরিক ও বাস্তবসম্মত প্রয়াস চালাননি এবং এ বিরাট ট্র্যাজেডি থেকে পাকিস্তানের বাকি অংশটি এখনো কোনো শিক্ষা গ্রহণ করেনি।
পাকিস্তান দু টুকরো হয়ে যাওয়ার পেছনে কি ২৫ মার্চ ঢাকায় সেনা অভিযানই একমাত্র কারণ, নাকি এ ট্র্যাজেডির পেছনে আরো বড় কোনো কারণ নিহিত আছে? এ কথা প্রমাণ করার পক্ষে যথেষ্ট ঐতিহাসিক সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে যে, এমনকি ২৫ মার্চেরও আগে পাকিস্তান ভেঙে যাওয়ার উপযুক্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল। ২৫ মার্চ এবং তার পরবর্তী দিনগুলোয় যা ঘটেছিল, তা শুধু পাকিস্তানের ভেঙে যাওয়ার বেদনাদায়ক প্রক্রিয়াটির সূত্রপাত ঘটিয়েছে মাত্র। পশ্চিম পাকিস্তানের ক্ষমতাসীনদের কারণে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের প্রবল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বঞ্চনা পূর্ব অংশে গভীর বিচ্ছিন্নতাবোধ ও বৈরী মনোভাবের জন্ম দিয়েছিল। পশ্চিম পাকিস্তানে সামরিক-আমলাতান্ত্রিক চক্র পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি জনগোষ্ঠীকে সমমর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। এ কারণে বাঙালিরা যথার্থই বুঝে গিয়েছিল, অখণ্ড পাকিস্তানের কাঠামোর ভেতর তারা তাদের প্রাপ্য অধিকার কোনো দিনই পাবে না। এশিয়া ফেলোশিপ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০০২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থানকালে দেশের বিভিন্ন অংশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এটুকু পরিষ্কার বুঝেছি, পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আলাদা রাষ্ট্র চায়নি। ইসলামাবাদের নিষ্ঠুর নীতির কারণে তারা এ বিভক্তি বরণ করতে বাধ্য হয়েছে। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীনরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, পূর্ব পাকিস্তান দ্রুত একটি দায়ে পরিণত হচ্ছে এবং এদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে বাধ্য করাই শ্রেয়। পশ্চিম পাকিস্তানের এলিটদের ষড়যন্ত্রের ফলে কেন দেশভাগ মেনে নিতে বাঙালিরা বাধ্য হয়েছিল, এর দুটি প্রধান কারণ আমাকে শোনাল বাংলাদেশের লোকেরা।
প্রথমত, পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানে সমানভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল না। পূর্ব পাকিস্তান রাজস্ব আয়ের একটি বড় উত্স এবং এর লোকসংখ্যা বেশি হওয়া সত্ত্বেও সমেদর সিংহভাগ নিয়ে নিচ্ছিল পশ্চিম পাকিস্তান। প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীতে বাঙালিদের সংখ্যা ছিল খুবই নিন্দনীয় পর্যায়ে। তা ছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও বাঙালিদের প্রাপ্য রাজনৈতিক ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছিল না। ১৯৭০-এর নির্বাচন ছিল দেশের অখণ্ডতা টিকিয়ে রাখার শেষ সুযোগ। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন এলিটদের আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয়। ঢাকায় ৩ মার্চের পূর্বনির্ধারিত পার্লামেন্ট অধিবেশন এক পাক্ষিকভাবে স্থগিত করে দিয়ে ইয়াহিয়া বাঙালিদের সবচেয়ে বড় আশঙ্কাটিই সত্য বলে প্রমাণ করলেন। আর তা হলো, সামরিক-আমলাতান্ত্রিক এলিটের নিয়ন্ত্রণাধীন অখণ্ড পাকিস্তানের কাঠামোর ভেতরে বাঙালিদের অধিকার আদায় কখনোই সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, ২৫ ও ২৬ মার্চ রাতের সেনা অভিযান পাকিস্তানকে অখণ্ড রাখার শেষ আশাটিও ধূলিসাত্ করে দেয়। সেনাবাহিনী নিজ দেশের জনগণের হত্যাযজ্ঞে যেভাবে মেতে ওঠে, তা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মনে গভীর ক্ষত তৈরি করেছিল। মূলত নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর ও প্রয়োজনাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ প্রত্যক্ষ করে তারা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। ২৫ মার্চের পর জিন্নাহর পাকিস্তানের অস্তিত্বই শেষ হয়ে গিয়েছিল। কেননা, সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সমঙ্ূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং পৃথক অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম করছে। সেনা অভিযানের কারণে তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল।
২৫ মার্চ ও তত্পরবর্তী ঘটনার কারণে মানুষের সে দুর্দশা আজও প্রত্যক্ষ করা যায়। এ অভিযানের কারণে শুধু ঢাকায় নয়, বাংলাদেশের সবগুলো শহর-বন্দরে স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংসতার প্রতীক দেখা যায়। বাংলাদেশে আমার অবস্থানকালে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী, অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ লোকজন আমাকে বলেছে, ২৫ মার্চের ঘটনাটি যদি না ঘটত, পাকিস্তান হয়তো টিকে যেত। তবে কনফেডারেশন আকারে, দেশ একটাই থাকত। তবে প্রদেশগুলোকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হতো। পাকিস্তানে গণতন্ত্র বিকাশ লাভ করত। ধর্মীয় চরমপন্থা নিয়ন্ত্রিত থাকত এবং সামন্ততন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে যেত। কেননা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি জনগোষ্ঠী স্বভাবে না উপজাতীয়, না আমলাতান্ত্রিক, না ধর্মীয় চরমপন্থী। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের এলিটদের মাথায় ছিল ভিন্ন পরিকল্পনা। তারা বিভিন্ন প্রদেশের সমানাধিকার মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। কেননা তাদের আশঙ্কা, এর ফলে তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে। কিন্তু ইসলামাবাদের ক্ষমতায় তখন যারা ছিলেন, তারা তাদের দূরদর্শিতার অভাব ও ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে এটা অনুধাবন করেননি যে, ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনী ফলাফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া একটি বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে ক্ষমতা দিতে অস্বীকার করার চেয়ে দেশ রক্ষা করা অনেক বেশি জরুরি।
যা হোক, যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। এখন প্রয়োজন এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা, যাতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বৈরিতা দূর হয়। বাংলাদেশে অবস্থানকালে আমি পাকিস্তান সমের্ক মানুষের তিন ধরনের মনোভাব লক্ষ করেছি। প্রথম ধরনের লোকজন পাকিস্তানের প্রতি উষ্ণ ও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। তারা আন্তরিকভাবে ভ্রাতৃপ্রতিম দুটি মুসলিম দেশের মধ্যে সুসমর্ঙ্ক চায়। জনসংখ্যার এ অংশটি মনে করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে অর্থপূর্ণ সমর্ঙ্ক তৈরির বাস্তব উপায় হলো অতীতের ক্ষত, বিশেষত ১৯৭১-এর ট্র্যাজিক ঘটনার ক্ষত সারিয়ে তোলা। দ্বিতীয় ধরনের লোকজন পাকিস্তানের প্রকাশ্য বিরোধী এবং ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সামরিক অভিযানকালে পাকিস্তান আর্মির নৃশংসতার কারণে পাকিস্তানের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। তৃতীয় ধাঁচে রয়েছে মূলত ১৯৭১-এর পরের প্রজন্ম। মোটের ওপর পাকিস্তান সমের্ক এদের মনোভাব বিক্ষিপ্ত। এরা মনে করে দেশটি সমের্ক তাদের আরো বেশি জানা দরকার। পাকিস্তান সমের্ক ইতিহাস বইতে যা লেখা আছে বা বয়স্করা যা শুনিয়েছেন, তা পুরোপুরি বিশ্বাস করা ঠিক নয় বলে এরা মনে করে। তবে ১৯৭১ সালের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা এবং ১৯৪৭ সালের পর থেকে দেশভাগ পর্যন্ত পাকিস্তানের পূর্ব ও পশ্চিম অংশের মধ্যে তিক্ত সমর্ঙ্ক সত্ত্বেও বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোক মনে করে ক্ষমা প্রার্থনা, আটকেপড়া পাকিস্তানিদের পুনর্বাসন এবং সমেদর ভাগ-বাটোয়ারার মতো অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর মীমাংসা করার মাধ্যমে দু দেশের মানুষের মধ্যে আরো সুসমর্ঙ্ক তৈরি করা সম্ভব।
১৯৭১ সালের বিয়োগান্তক ঘটনার পর দুটি প্রজন্ম পার হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতার সময়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক পুরনো ক্ষতও সেরে যায়। তবে ১৯৭১-এর বিয়োগান্তক ঘটনা ভোলা যায় না। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে ১৯৭১-এ যা ঘটেছিল তার জন্য তারা পাকিস্তানিদের ক্ষমা করে দিতে পারে, কিন্তু ওই স্মৃতি ভোলা সম্ভব নয়। শুধু দু দেশের সরকারি পর্যায়ে সমর্ঙ্ক জোরালো করার মাধ্যমেই নয়; বরং সংস্কৃতি, শিক্ষা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দু দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সমঝোতা গড়ার সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। ১৯৭১ সালে সামরিক অভিযানের সময়কৃত বাড়াবাড়ি তদন্ত করার জন্য প্রখ্যাত বিচারকদের সমন্বয়ে একটি যৌথ কমিশন গঠন করারও প্রয়োজন আছে, যাতে যারা ওই নিষ্ঠুর পদক্ষেপের শিকার হয়েছে তারা সান্ত্বনা পায় এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে ইতিহাসের বোঝা বহন করতে না হয়। একমাত্র এভাবেই দুটি দেশ পরসঙ্রকে দোষারোপ ও আত্মদংশনের রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অর্থপূর্ণ সমর্ঙ্ক তৈরি করতে পারে।
ইংরেজি থেকে অনূদিত
সূত্র: ২৬ মার্চ ২০০৩ প্রথম আলোর "স্বাধীনতা দিবস" বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত
Also Read
-
অভিনেত্রী শমী কায়সার গ্রেপ্তার
-
মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি শুরুর চিন্তা বিএনপির
-
চট্টগ্রামে ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে সংঘর্ষ, ফাঁকা গুলি, সাত পুলিশ সদস্য আহত
-
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ
-
প্রাথমিক ভোট গণনার ফল যে কারণে বিভ্রান্তিকর হতে পারে