স্বাধীনতা দিবস-২৬ মার্চ
অসমাপ্ত সাক্ষাত্কার
অসমাপ্ত সাক্ষাত্কার পাড়ি দিয়ে নদী পার হই
শীতের কুয়াশা আর ইলিশ-বৃষ্টিতে
চাঁদপুর নিয়ে ভাসি পুলওভার বাতাসে
দেখি, জাহাজের ডেকে লেখা অজানা প্রেমিকের নাম
হারানো প্রেমিকার ভেসে যাওয়া ঠিকানা খোঁজার বালি-তৃষ্ণা
চাঁদপুর তুমি বুকে নিয়ে আছো পালতোলা নদী
পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়া
আরো কত ভাঙনের চিহ্ন, ইলিশ পসরার মেলা
তোমার নাম নিয়ে আমার যাত্রা আর ফিরে আসা
বারবার পেছনে ফিরে দেখা
সাক্ষাত্কার গ্রহণের নদী-জল, মৃত্তিকার মুখমণ্ডল, ওগো নারী
চাঁদপুর, কেন বলো নাই তার নাম?
ওগো ত্রয়ী নদ, তোমাদের আর ইলিশের নামে
তার নাম রাখি জলরঙ
কেন জলরঙে আঁকা আমার কবিতা ও তুলিচিত্র
হয় না কখনো সার্থক?
স্মৃতিপটে তাই জলকন্যা আঁকার ব্যর্থতায় আমি
অন্তরমুখে ফের তাকে জলকন্যা ডাকি
ডাকি আমার বোধের নদী ও শব্দ-ইলিশ প্রজন্মে
তার অঘোষিত নামে
তবু স্মৃতিবিনাশী কারেন্টজাল কেন আমার আচ্ছন্নতার মায়াজালে?
জলকন্যার প্রশ্ন ছিল চাঁদপুরের ইলিশ কেমন?
আপনার কবিতায় কি ইলিশের উপমা আছে?
চকিত ঢেউয়ের দোলাময় প্রশ্নের উত্তর দিইনি তাকে
ব্যক্তিগত প্রশ্নের বদলে জানতে চেয়েছি শুধু জলকন্যা-কাহিনী
তার জল-অঙ্গের কুলকুল ধ্বনি
আজো সেই চাঁদপুর-সন্ধ্যা ভাসে আমার বাতিঘরে
চাঁদ ভেঙে ভেঙে কখনো বা পূর্ণ হয় নদীজলে
জ্যোত্স্না-পড়া অসীমের কূলভাঙা ঢেউয়ে
অসমাপ্ত কথা বলা মেয়েটির সাজঘরে
বাকি কথা সাক্ষাতে বলব বলে
রেখে যাই তার রচনার অসমাপ্ত সাক্ষাত্কারে।
সূত্র: ২৬ মার্চ ২০০৪ প্রথম আলোর "স্বাধীনতা দিবস" বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত
Also Read
-
দুবাইয়ে বিশ্বের ধনকুবেরদের গোপন সম্পদের পাহাড়, কার কত
-
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চার্লি চ্যাপলিনকেও হত্যা করতে চেয়েছিলেন খুনিরা
-
ঠেকানো যাচ্ছে না রিজার্ভের পতন
-
তিন বন্ধুর সিজিপিএ একই, যুক্তরাষ্ট্রে বৃত্তি নিয়ে পিএইচডির সুযোগও পেলেন একসঙ্গে
-
বৃষ্টির সঙ্গে পড়া শিলায় দূষণের নানা উপাদান