বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্তদের তালিকা
মো. আবদুল হাকিম, বীর প্রতীক
গ্রাম মেদুর, সরিষাবাড়ী, জামালপুর।
বাবা মাছুদ আলী মুন্সী, মা মরতোবান নেছা।
স্ত্রী শামসুন নাহার। তাঁদের তিন ছেলে ও চার মেয়ে।
খেতাবের সনদ নম্বর ৪১৮।
মো. আবদুল হাকিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। ১৯৭১ সালে তিনি ঢাকার অদূরে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে হাবিলদার পদে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মেজর কে এম সফিউল্লাহর নেতৃত্বে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলের সেনারা বিদ্রোহ করে যুদ্ধে যোগ দেন। তিনি এ বাহিনীর সঙ্গে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহে প্রতিরোধযুদ্ধে অংশ নেন। পরে এ বাহিনী ভারতে চলে যায়। এরপর পরিবার-পরিজনের খোঁজ নেওয়ার জন্য তিনি দেশে আসেন। এ সময় কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তিনি তখন পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য স্বতন্ত্রভাবে একটি বাহিনী গঠন করছিলেন। কাদের সিদ্দিকীর অনুরোধে মো. আবদুল হাকিম ১৯ মে ওই বাহিনীতে যোগ দেন। এ বাহিনীর নাম ছিল কাদেরিয়া বাহিনী। তিনি এ বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন।
মো. আবদুল হাকিম টাঙ্গাইলের দেওপাড়া, ধরলাপাড়া, সাগরদীঘি, ঘাটাইল, গোপালপুর, ভূঞাপুর, ইছাপুর ও জামালপুরের সরিষাবাড়ীর দুলভিটিতে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। ১৪ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ইছাপুর কবরস্থানে তিনি তাঁর বাহিনী নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। সেদিনের যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
সূত্র: একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, প্রথম খণ্ড, প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা ২০১২
সম্পাদক: মতিউর রহমান, সংগ্রহ ও গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান
Also Read
-
দরিদ্র মানুষের খাবারের ব্যয় বেড়েছে ৫৮ শতাংশ
-
খারকিভে ‘কঠিন লড়াই’ চলছে: জেলেনস্কি
-
পাঠ্যবই থেকে আলোচিত ‘শরীফার গল্প’ বাদ দিতে সুপারিশ বিশেষজ্ঞ কমিটির
-
১০০ মিটার দূরে, বাঁচানো গেল না স্ত্রী–সন্তান ও নাতি–নাতনিদের
-
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার পেছনে কি রাজনৈতিক কারণ