বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্তদের তালিকা
মুনসুরুল আলম দুলাল, বীর প্রতীক
গ্রাম রামপাল, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বাবা আবদুল লতিফ ভূঁইয়া, মা মেহেরুন নেছা।
স্ত্রী রোকেয়া আলম। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে।
খেতাবের সনদ নম্বর ৩০৯। গেজেটে নাম দুলাল।
মুনসুরুল আলম দুলাল ১৯৭১ সালে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি চলে যান। সেখান থেকে আগরতলায় গিয়ে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। মেলাঘরে প্রশিক্ষণ নিয়ে ঢাকায় আসেন।
মুনসুরুল আলম ঢাকার মিরপুর, ধানমন্ডি, হাতিরপুল, গ্রিন রোডসহ বিভিন্ন স্থানে অপারেশন চালান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রিন রোডের অপারেশন। ২১ আগস্ট রাত একটার দিকে মুনসুরুলসহ পাঁচজন যোদ্ধা গ্রিন রোডে মিনি মাইন পুঁতে হোটেল নূরের দোতলায় অবস্থান নেন। তাঁদের অস্ত্র বলতে ছিল কয়েকটি গ্রেনেড, দুটি এসএমজি, দুটি এসএলআর ও কয়েকটি মিনি মাইন। রাত দুইটার দিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তিনটি লরি আসতে দেখে তাঁরা প্রস্তুত হন। লরিগুলো সেখানে আসামাত্র মাইনগুলো বিস্ফোরিত হতে থাকে। বিস্ফোরণে প্রথম লরির ব্যাপক ক্ষতি এবং বেশ কজন পাকিস্তানি সেনা হতাহত হয়। আতঙ্কিত হয়ে পাকিস্তানি সেনারা চারদিকে গোলাগুলি শুরু করে। মুনসুরুল ও তাঁর সহযোদ্ধারাও গুলিবর্ষণ শুরু করেন হোটেলের দোতলা থেকে। এই অপারেশনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ বেশ কজন সেনা নিহত হয়। মুনসুরুল ও তাঁর সঙ্গী চারজন মুক্তিযোদ্ধাও গুলিতে আহত হন। তবে তাঁরা সেখান থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সক্ষম হন।
পরদিন ২২ আগস্ট বিবিসিতে এই অপারেশনের বিষয়ে ‘দ্য বিগেস্ট অপারেশন ইন দ্য ক্যাপিটাল অব ইস্ট পাকিস্তান’ শিরোনামে সংবাদ প্রচারিত হয়।
সূত্র: একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, প্রথম খণ্ড, প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা ২০১২
সম্পাদক: মতিউর রহমান, সংগ্রহ ও গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান
Also Read
-
প্রত্যাবর্তনের এক অভূতপূর্ব দৃশ্য
-
উই হ্যাভ আ প্ল্যান
-
তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে কী বললেন নাহিদ, আখতার, হাসনাত ও সারজিস
-
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবর, ‘সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ
-
মঞ্চে নির্ধারিত চেয়ারে না বসে প্লাস্টিকের চেয়ারে বসলেন তারেক রহমান