বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্তদের তালিকা
এ টি এম খালেদ, বীর প্রতীক
স্কুল লেন, মধ্যপাড়া, সদর, গাইবান্ধা।
বাবা গোলাম মওলা প্রামাণিক, মা রেজিয়া খাতুন। অবিবাহিত।
১১ জানুয়ারি ১৯৮০ ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংঘর্ষে নিহত।
খেতাবের সনদ নম্বর ৪০৩।
এ টি এম খালেদ দুলু ১১ নম্বর সেক্টরের মানকারচর সাব-সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নেন। যুদ্ধ করেন কুড়িগ্রাম জেলার কোদালকাটি, চিলমারীসহ কয়েকটি জায়গায়। ১ অক্টোবর সুবেদার আলতাফের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর কয়েকটি দল কোদালকাটির পাকিস্তানি অবস্থানে একযোগে আক্রমণ চালায়। একটি দলে ছিলেন এ টি এম খালেদ। দু-তিন দিন সেখানে যুদ্ধ হয়। ৩ অক্টোবর দুপুরের পর পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থান থেকে গোলাগুলি থেমে যায়। বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধাদের চিন্তায় ফেলে। এ অবস্থায় খালেদসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলাগাছের ভেলায় করে নদী পার হয়ে পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থানে যান। গিয়ে দেখেন, সেখানে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকাররা নেই। পাকিস্তানি সেনাদের গোটা প্রতিরক্ষাব্যূহ খাঁ খাঁ করছে। চারদিকে তন্নতন্ন করে খুঁজেও পাকিস্তানি সেনাদের দেখা গেল না। তাঁরা বুঝতে পারলেন, পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে গেছে।
১৭ অক্টোবর চিলমারীতে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে পাকিস্তানি সেনাদের বিভিন্ন অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালান। এ টি এম খালেদ ও কাজিউল ইসলাম ছিলেন একটি দলের নেতৃত্বে। তাঁরা জোড়গাছ স্কুলের পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থানে আক্রমণ চালান। তাঁদের প্রচণ্ড আক্রমণে সেখানকার পাকিস্তানি সেনারা হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। বেশির ভাগ পাকিস্তানি সেনা পালিয়ে তাদের মূল ঘাঁটিতে আশ্রয় নেয়। খালেদ এক পাকিস্তানি সেনাকে আটক করেন। তাকে পরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সূত্র: একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, প্রথম খণ্ড, প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা ২০১২
সম্পাদক: মতিউর রহমান, সংগ্রহ ও গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান
Also Read
-
রাজস্ব আদায়ে অগ্রগতি নেই, ৭ ভবন নির্মাণের তোড়জোড়
-
কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে
-
সাম্প্রদায়িক অপশক্তি শক্তিশালী হচ্ছে, ঐক্যবদ্ধভাবে রুখতে হবে
-
ঢাকার সরকারি স্কুলগুলোতে জিপিএ-৫ কম, কিন্তু কেন
-
মাহমুদউল্লাহ ‘স্পিরিট অব দ্য টিম’, সাকিব ‘কিংবদন্তি’, রিশাদ ‘বিরল’