বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্তদের তালিকা
আবদুল মজিদ, বীর প্রতীক
গ্রাম টেংরাটিলা (আজবপুর), দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ।
বাবা আবদুল গনি, মা সফিনা বেগম।
স্ত্রী লুত্ফা বেগম। তাঁদের দুই ছেলে ও চার মেয়ে।
খেতাবের সনদ নম্বর ৩৫৫।
আবদুল মজিদ ১৯৭১ সালে ছিলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী। তাঁর বাড়ির পাশেই ছাতক (টেংরাটিলা) গ্যাসক্ষেত্র। এপ্রিলে ১২ জন পাকিস্তানি সেনা এই গ্যাসক্ষেত্র পাহারা দিতে আসে। এরপর আবদুল মজিদসহ কয়েকজন যুবক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পৌঁছান এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তাঁদের পাঠানো হয় মেঘালয়ের ইকো ওয়ান ট্রেনিং ক্যাম্পে।
প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের পাঠানো হয় বালাটে। ওই ব্যাচের মুক্তিযোদ্ধারা প্রথম অপারেশন করেন সুরমা নদীর উত্তর পারের বেরিগাঁওয়ে। কিন্তু এলাকাটি তাঁদের কাছে একেবারে অপরিচিত হওয়ায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ফলে এ যুদ্ধে তাঁদের পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
এরপর ওই ব্যাচের মুক্তিযোদ্ধাদের পাঠানো হয় তাঁদের নিজ নিজ এলাকায়। আবদুল মজিদ ৫ নম্বর সেক্টরের শেলা সাব-সেক্টরের পাইওনিয়ার কোম্পানির অধীনে নরসিংহপুর, টেংরাটিলা, আজবপুর, বালিউড়া, রাউলি, জাউয়া ও রাধানগর এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেন।
আবদুল মজিদ ছাতকের বুরকি এলাকার সম্মুখযুদ্ধে এক সঙ্গীকে হারান। সেদিন সারা রাত দুই পক্ষের মধ্যে গুলি-পাল্টা গুলির ঘটনা ঘটে। ছাতক-সিলেট সড়কের জাওয়া সেতু উড়িয়ে দেওয়ার অপারেশনে ছিলেন আবদুল মজিদ। পাকিস্তানি সেনারা জাওয়া সেতু রক্ষা করতে সেতুর ওপর স্থানীয় রাজাকারদের পাহারায় বসায়। অপারেশনের দিন কৌশলে পাঁচজন রাজাকারকে ধরে ফেলেন তাঁরা। এরপর বিস্ফোরকের সাহায্যে সেতুটি উড়িয়ে দেন।
সূত্র: একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, প্রথম খণ্ড, প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা ২০১২
সম্পাদক: মতিউর রহমান, সংগ্রহ ও গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান
Also Read
-
খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানির প্রতিষ্ঠান থেকে ভাড়া করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার
-
জাতীয় চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে বেরিয়ে গেল সিংহী, দুই ঘণ্টা পরে নিয়ন্ত্রণে
-
চোখের সামনে সঙ্গীদের মেরে আমাদের ভয় দেখাত
-
‘বিত্তশালী’ ভেবে অপহরণ, এরপর যা হলো
-
প্রথম আলো আজ শুধু পত্রিকা নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান